বন্ধ পত্রিকা চালুর দাবিতে সিইউজের সমাবেশ

প্রতিবাদ সমাবেশে সিইউজে নেতারাসাংবাদিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ ও চট্টগ্রামে মালিক কর্তৃক বন্ধ রাখা পাঁচ পত্রিকার প্রকাশনা চালুর দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে সিইউজে নেতারা এ দাবি জানান।

সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সাংবাদিকরা যখন ন্যায্য পাওনা আদায়ের দাবিতে আন্দোলন করছে তখন মালিক পক্ষ কোনও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ঘোষণা ছাড়াই পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করে রেখেছে। সরকারি সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরও আইনের প্রতি অবজ্ঞা দেখিয়ে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া পত্রিকা বন্ধ করে সাংবাদিক ইউনিয়নের আন্দোলন নস্যাৎ করা যাবে না। এ সময় সিইউজে সভাপতি অবিলম্বে সাংবাদিকদের পাওনা পরিশোধ ও পত্রিকা চালু না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। 

সিইউজে সভাপতি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত ৭ জন সাংবাদিক করোনায় মারা গেছেন। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে আক্রান্ত হয়েছে ৩ শতাধিক। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করেছি মালিক পক্ষ আক্রান্ত সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোর ন্যূনতম প্রয়োজনও বোধ করেননি। স্বনামধন্য পত্রিকাসমূহও মধ্যরাতে পর্যন্ত কোনও ধরনের যানবাহন সুবিধা না দিয়ে সাংবাদিক-কর্মচারীদের চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। এমন কি হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সংবাদপত্র মালিকদের এ অমানবিক আচরণ শুধু দুঃখজনকই নয়, চরম বিস্ময়করও বটে।

সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিইউজের সিনিয়র সহ সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সহ সভাপতি অনিন্দ্য টিটো এবং টিভি ইউনিটের প্রধান মাসুদুল হক।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বলেন, মালিকরা পত্রিকা বন্ধ করতে চাইলে সরকারি নিয়ম মেনে লে-অফ ঘোষণা করার পর সকল সাংবাদিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে। পত্রিকার নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করতে হবে। কোন ঘোষণা ছাড়া পত্রিকা বন্ধ করা দুঃখজনক।

সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, একটি দালাল চক্রকে ব্যবহার করে মালিকরা মনে করছেন সিইউজের আন্দোলন নস্যাৎ করবেন। অতীতকে ভুলে গিয়ে সারাদেশে সাংবাদিকদের ন্যায্য আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা এ সংগঠনকে দুর্বল মনে করলে মালিকরা ভুল করবেন। দালালদের পরিণতিও সব সময় ভয়াবহ হয়েছে। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সাংবাদিকদের প্রাপ্য সকল বকেয়া ও দুই ঈদের পূর্ণ বোনাস দ্রুত প্রদান করে পুনরায় পত্রিকা প্রকাশের কার্যক্রম চালু করে সংবিধান ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলার থেকে বেরিয়ে আসুন।