নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: মোট ৫ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নোয়াখালী

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলায় দেলোয়ারের সহযোগী মাঈনুদ্দিন সাহেদ দুই দিনের রিমান্ড শেষে আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এ নিয়ে ৫ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।   

এর আগে গতকাল শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সোহাগ ও নূর হোসেন রাসেল এবং বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) আবদুর রহিম এবং স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বুধবার রাতে একলাশপুর এলাকা থেকে মাঈনুদ্দিন সাহেদকে গ্রেফতার করা হয় এবং বৃহস্পতিবার ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

গর্ভমেন্ট রেজিস্ট্রার অফিসার (জিআরও) মো. সোহেল রানা জানান, দুই দিনের রিমান্ড শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেহ উদ্দিন মিজান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মাঈনুদ্দিন সাহেদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  

প্রসঙ্গত, ২ সেপ্টেম্বর রাতে বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও আবদুর রহিম। ঘটনার ৩২ দিন পর ৪ অক্টোবর দুপুরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই দুটি মামলা হয়। পরে ৬ অক্টোবর রাতে ঘটনার মূল হোতা দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও তার সহযোগী কালামের বিরুদ্ধে থানায় আরেকটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, নির্যাতনকারীরা ওই গৃহবধূর পোশাক কেড়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা বলতে থাকে। তিনি প্রাণপণে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন এবং হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডাকেন, তাদের পায়ে ধরেন। কিন্তু, তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি। বরং হামলাকারীদের একজন তার মুখন্ডলে লাথি মারে ও পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেয়। এরপর একটা লাঠি দিয়ে মাঝে মাঝেই আঘাত করতে থাকে। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চেঁচায় আরেকজন।