মামলায় হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডের ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স বিথীকা রাণী হাওলাদার (৪৮), গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. লাইনুন নাহার ও ডা. নাছির (ইন্টার্ন), সিনিয়র নার্স সামছুন নাহার, মমতাজ বেগম, ম্যাটস ছাত্র নাইম, আয়া পুতুল রানী, জহুরা ও মারজাহানকে আসামি করা হয়েছে।
এ সময় গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. লাইনুর নাহারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি হাসপাতালে আসেনি। ম্যাটস ছাত্র নাইম ভিকটিমের লজ্জা স্থানের ভিডিও করেন। ভিকটিমের শাশুড়ি প্রতিবাদ করেলে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের ট্রেনিংয়ের জন্য লাগবে।’
সিনিয়র ডাক্তার নার্স টিউটিতে থাকার পরও সহকারী আয়া ও ম্যাটস এর ছাত্র দিয়ে ডেলিভারি করানো হয়েছে। নবজাতকের ঘাড় ধরে জোর করে টেনে ডেলিভারি করানো হয়। এ সময় নবজাতকটির মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কালো হয়ে রক্ত জমাট বেধে যায়। দু’জন আয়া টেনে হিঁচড়ে প্রসবের সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে জীবিত পুত্র সন্তান প্রসবের মাত্র ২-৩ মিনিটের মাথায় মারা যায়।
ভিকটিমের শাশুড়ি তার পুত্রবধূর শরীর থেকে বের হওয়া রক্তের ছবি ফোনে ধারণ করলে তাকে একটি কক্ষে আটকে ভিকটিমের কাগজপত্র লুকিয়ে ফেলেন অভিযুক্তরা। এসব বিষয়ে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারকে অবহিত করলে তিনি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ ঘটনায় সুধারাম থানায় মামলা করতে চাইলেও পুলিশ মামলা নিতে চাননি। পরে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী পরিবার আদালতে মামলা দায়ের করে।
হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডের ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স বিথীকা রাণী হাওলাদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। আমি ওই মুহূর্তে ছিলাম না এবং আমার ডিউটি সকাল ৮টা থেকে ছিল।’