এর আগে ২৫ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জহুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ গেজেটের বিশেষ সংখ্যায় শফিকুল আলমসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আবেদিত ৩৬ জনের সনদ ও গেজেট বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার জানান, এ বছরের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে শফিকুল আলমের বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি হয়। শুনানিকালে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এ সময় আল মামুন সরকার নিজেও উপস্থিত ছিলেন বলে জানান।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলমের বিষয়ে তদন্ত হয়। সেখানে শফিকুল আলম নিজেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়। পরে জামুকার ৬৯তম সভায় শফিকুল আলমসহ মোট ৩৬ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।