কক্সবাজারে আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন  

দোহাজারি-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এমপি। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার শহরে রেল স্টেশনের দৃষ্টিনন্দন ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

এর আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘২০২২ সালের মধ্যেই যাতে কক্সবাজারবাসী রেলে চড়ে সারাদেশে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই রেললাইন নির্মাণের কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কিছু ভূমি জটিলতা থাকলেও তা সমাধান করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এই রেললাইন নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।’

এ সময় আরও বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাদিরা সুলতানা জলি এমপি, কানিজ ফাতেমা মোস্তাক এমপি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান, কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ প্রমুখ।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, দোহাজারী থেকে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, রামু, কক্সবাজার, উখিয়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিমি রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। ভূমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে প্রকল্প ব্যয় বাড়তে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এ প্রকল্পে অর্থের জোগান দিচ্ছে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রেলের চুক্তি হয়। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নকাজও দেরিতে শুরু হয়। এর পরও ২০২২ সালেই সারাদেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে কক্সবাজার যুক্ত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।