লালখান বাজারে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লালখান বাজার শহীদ নগর সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত তিন জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলাল ও বিদ্রোহী এফ কবির আহমেদ মানিকের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষই ইট-পাটকেল ছুড়ে একে অন্যকে ঘায়েলের চেষ্টা চালায়। এসময় অন্তত তিন জন আহত হন।

একই সময়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী আনজুমান আরা ও বিএনপির নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বেগম মনির সমর্থকদের মধ্যেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও ভোটগ্রহণে কোনও সমস্যা হয়নি বলে জানান প্রিসাইডিং অফিসার বশির আহমদ। তিনি বলেন, বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও কেন্দ্রের ভেতরে কোনও বিশৃঙ্খলা নেই।

২০২০ সালের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় নির্বাচনের আট দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি বিবেচনায় ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচন কমিশন। এবার মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিএনপির দুই প্রার্থীর বাইরে আরও পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন এনপিপি’র আবুল মনজুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা)।

এদিকে, ৪১টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন। এবার ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মারা যাওয়ায় সেখানে কাউন্সিলর নির্বাচন হবে না। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে।

অন্যদিকে, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুন অর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এই ওয়ার্ডেও এবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে না। নগরীর ৩৯টি ওয়ার্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরও পড়ুন:

চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

কেউ অন্যের ভোট দিতে পারবেন না: নওফেল

চসিক নির্বাচন: ভোট দিলেন আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী