আখাউড়ায় নাজু মিয়া হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন: গ্রেফতার ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নাজু মিয়া (৪০) হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই। হত্যার প্রায় আট মাস পর এর রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়। অগ্রিম টাকা নিয়ে মাদক না দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিবিআইয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

নিহত নাজু মিয়া আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে। রাসেল উপজেলার নোয়ামুড়া গ্রামের মুসলিম মিয়ার ছেলে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ২৪ জুলাই দুপুরে আখাউড়ায় উপজেলার মিনারকুট গ্রামের ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মো. নাজু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রথমে আখাউড়া থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে নিহত নাজুর বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন। পিবিআইয়ের এসআই মিজানুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে আট মাস পর বের করেন হত্যাকাণ্ডের রহস্য। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসানের আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানায়, নাজু মিয়াকে ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাদক ক্রয় ও পরিবহনের কাজে ব্যবহার করতো রাসেল মিয়াসহ স্থানীয় একটি মাদক চোরাচালান চক্র। ঘটনার কিছুদিন আগে নাজু মিয়া অগ্রিম টাকা নিয়ে মাদক সরবরাহ করেনি। সে মাদক চোরাচালানের তথ্য পুলিশের কাছে ফাঁস করে দিতে পারে এ সন্দেহে রাসেল মিয়া ও তার সহযোগীরা নাজু মিয়াকে ভারতীয় সীমান্তের কাছে নিয়ে হত্যা করে। পরে নাজুর লাশ ফেলে দিয়ে মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই মিজানুর রহমান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল মিয়া নাজুকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। নিহত নাজুর বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।