চট্টগ্রামে ভাষা শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে চট্টগ্রামের মানুষ। ২১ এর প্রথম প্রহর রাত ১২টায় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা জানান সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

এর আগে রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদদের প্রতি সশস্ত্র অভিবাদন জানান সিএমপির একটি চৌকস দল। এরপর রবিবার সকালে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তবে করোনার কারণে আগের মতো প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়নি।

মেয়রের পরেই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ।

এরপর পর্যায়ক্রমে ট্যুরিস্ট পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রেলওয়ে পুলিশ, চট্টগ্রাম জেলা আনসার কমান্ডার, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম কারাগার, পরিবেশ অধিদফতর, পরিচালক স্বাস্থ্য, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

তবে এ ক্ষেত্রে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশনায় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পুষ্পস্তবক অর্পণের ক্ষেত্রে প্রতি সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারবে জানালেও অনেক রাতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় অনেক সংগঠন ১৫ থেকে ২০ জন মিলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে শুরুতেই সিএমপির স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা ভাঙেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। শ্রদ্ধা জানাতে তিনি অন্তত ২০ জনের বেশি লোক নিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করেন। তাদের অনেকের মুখে আবার মাস্কও ছিল না। ৫ জনের বেশি লোক নিয়ে যান সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ।