ভরাট বন্ধে চট্টগ্রামে পুকুরের তালিকা করতে যাচ্ছে পরিবেশ অধিদফতর

ভরাট বন্ধে চট্টগ্রাম নগরীর পুকুরের তালিকা তৈরি করতে যাচ্ছে পরিবেশ অধিদফতর। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকাধীন ভূমি রেকর্ডের অন্তর্ভুক্ত এসব পুকুরের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

বুধবার (৩ মার্চ) পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক (চট্টগ্রাম মহানগর) মিয়া মাহমুদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৫ মার্চ থেকে মহানগর, বিভাগীয় শহর, জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকায় অবস্থিত ব্যক্তি মালিকানাধীন হিসেবে রেকর্ড করা পুকুরগুলো গেজেটভুক্ত করে প্রকাশ করার নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। গত ২ ফেব্রুয়ারি এই সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ প্রধান কার্যালয় থেকে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠি পেয়ে আমরা নগরীতে থাকা পুকুরগুলোর তালিকা প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই তালিকা করা হবে। এই বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে আজ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

২০১২ সালে বরিশাল জেলার কোতয়ালি থানাধীন বগুড়া-আলেকান্দা মৌজার হাসপাতাল সড়কের ঝাউতলা দ্বিতীয় গলি এলাকায় একটি পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আসাদুজ্জামান সিদ্দিক। শুনানি শেষে ২০২০ সালের ৫ মার্চ এই রিট পিটিশনের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়, মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকায় অবস্থিত ব্যক্তি মালিকানাধীন হিসেবে রেকর্ড পুকুরগুলোকে এই রায় প্রাপ্তির এক বছরের মধ্যে আইন, ২০০০-এর ধারা ২(চ)-এ উল্লিখিত প্রাকৃতিক জলাধারের সংজ্ঞাভুক্ত হিসেবে গেজেটভুক্ত করে প্রকাশ করার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া গেলো।

এই রায় ঘোষণার পর গত ২ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদফতর আগারগাঁও কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (আইন) খোন্দকার মো. ফজলুল হক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়। ওই চিঠি পাওয়ার পর নগরীতে বিদ্যমান পুকুরগুলোর তালিকা তৈরি করে সেটি পরিবেশ অধিদফতর কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। বুধবার পাঠানো ওই চিঠিতে পরিবেশ অধিদফতরের নির্ধারিত ছকে পুকুরগুলোর তথ্য সংযুক্ত করে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়।