‘নারীরা স্বাবলম্বী হলে সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার দূর হবে’

নারীরা কখনও পুরুষদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয় জানিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, ‘সরকারের আন্তরিকতা ও নিরলস প্রচেষ্টায় নারীরা এখন সব পেশায় সর্বক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হচ্ছে। ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সবার অংশগ্রহণ জরুরি। নারীর ক্ষমতায়ন শতভাগ নিশ্চিত করতে হলে নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী-শিশু নির্যাতন, ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ে রোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা স্বাবলম্বী হলে সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার দূর হবে।’

সোমবার (৮ মার্চ) চট্টগ্রাম জেলা শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন, মহিলাবিষয়ক উপ-পরিচালকের কার্যালয় ও জাতীয় মহিলা সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল নারী। তিনি নারী সমাজের উন্নয়নের জন্য বিশ্বের কাছে এখন রোল মডেল। তার হাত ধরে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীদের বাদ দিয়ে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন কখনও সম্ভব নয়। এ বিষয়টি বিবেচনায় এনে সরকার নারীদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নে অগ্রযাত্রায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও প্রোগ্রাম অফিসার সালমা পারভীনের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের সাবেক উপ-পরিচালক অঞ্জনা ভট্টাচার্য, শিশু একাডেমির জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা নূরুল আবছার ভূঁঞা, জাতীয় মহিলা সংস্থার সদস্য কল্পনা লালা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইলমা’র প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু, ইউনিসেফ’র শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা ফ্লোরা জেসমিন দীপা ও অর্জন মহিলা সংস্থা সভানেত্রী আবিদা আজাদ। আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম মহিলাবিষয়ক অধিদফতরসহ বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী ও নারী উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তরা বলেন, বর্তমানে নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের সেরা দশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান। নারী শিক্ষার উন্নয়ন হলে বদলে যাবে সমাজ। সমাজ ও দেশের উন্নয়নে নারীদের অবদান অনেক বেশি। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামেও নারীদের অনেক আত্মত্যাগ রয়েছে। পোশাক শিল্পেও নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। একজন নারীকে কখনও খাটো করে দেখা উচিত নয়।

বক্তারা আরও বলেন, এ দেশে নারী-পুরুষের সমতা আছে বলেই দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সবার সম্মিলিত উদ্যোগে ও সমতার ভিত্তিতে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা গেলে জাতীয় অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে। নারী-পুরুষ ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কে সবাইকে সামিল হতে হবে।