কোম্পানীগঞ্জে সহিংসতা: আওয়ামী লীগ নেতা বাদল আটক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় একপক্ষের নেতৃত্বে থাকা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকালে তাকে আটক করা হয়।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আটক মিজানুর রহমান বাদল (৫০) উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম চৌধুরীর ছেলে।

মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা জানান, নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকা থেকে আজ বিকাল ৪টায় সাদা পোশাকে আসা একদল লোক বাদলকে তুলে নিয়ে যায়।

এদিকে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মিজানুর রহমান বাদলকে আটক করা হয়েছে বলে পোস্ট দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। তবে, কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে তা জানাননি তিনি। 

যদিও একই ঘটনায় জড়িত অপরপক্ষ বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বা তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।

অপরদিকে, বসুরহাট ও চাপরাশিরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও সিএনজিচালক আলাউদ্দিন নিহত হওয়ার পর গোটা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বসুরহাট পৌরসভার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক কাজকর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্য করতে না পেরে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। এজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বসুরহাট পৌর এলাকায় সাধারণ মানুষের জানমাল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত ৩০০ পুলিশ ও র‌্যাবের দুটি টিম নিয়মিত টহল দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, দু’মাস ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র মির্জা কাদেরের সঙ্গে জেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরোধের জের ধরে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময় দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে পৃথক এলাকায় দুইবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলিতে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির এবং সিএনজি চালক আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।