ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা-ভাঙচুর হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ হামলা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, জামায়াত-শিবিরের লোকজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
ঘটনা সম্পর্কে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. রুবেল হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন আগে জামায়াত-শিবিরের লোকজন মোদিবিরোধী মিছিল বের করতে চায়। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়ে তারা মিছিল করতে পারেনি। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে জামায়াত-শিবিরের লোকজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে অর্তকিত হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় তারা আসবাবপত্রের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের ছবি ভাঙচুর করে।’
ঘটনা সম্পর্কে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘মোদিবিরোধী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের কর্মীরা এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। আমরা তাদের বাধা দিয়েছিলাম। আজ তারা দলবদ্ধভাবে আসে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করার জন্য। ঘটনার সময় পাশে আমি আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। হামলাকারীদের আমি বারণ করার চেষ্টা করেছি। তারা কোনও কথা শোনেনি।’
তিনি বলেন, ‘পার্টি অফিসে তারা অর্তকিত হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় তারা অফিসের আসবাবপত্রের পাশাপাশি জাতির জনক, প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপির ছবি ভাঙচুর করেছে। বিষয়টি আমাদের সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারকেও জানানো হয়েছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ধরমন্ডল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাহার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘জামায়াত-শিবিরের লোকজন অতর্কিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। আমি হামলার ঘটনাস্থল পার্টি অফিস পরিদর্শন করেছি। আমাদের এমপি মহোদয়কে জানানো হয়েছে। তবে কী কারণে তারা হামলা করলো এ বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে। তবে যতটুকু শুনেছি মোদিবিরোধী আন্দোলনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের বাধা দিয়েছিল। এ ঘটনার জের ধরে এমনটি হতে পারে।’
নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ টি এম আরিচুল হক জানান, ‘ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কারা কেন ঘটনা ঘটিয়েছে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’