একাধিক নারীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল হেফাজত নেতা জাকারিয়ার

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর একাধিক নারীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, জাকারিয়া নোমান ফয়েজীকে গ্রেফতারের পর আমরা তার কাছ একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করি। সেখানে আমরা তার একাধিক নারীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রমাণ পেয়েছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার দুই থেকে তিন জনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে।

এর আগে বুধবার (৫ মে) বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারের পর ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, তাকে গ্রেফতারের পর আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছি। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তিনি আরও বলেন, জাকারিয়া নোমান ফয়জী হাটহাজারীর ঘটনায় দায়ের করা তিনটি মামলার এজহারভুক্ত আসামি। এর বাইরে ওই ঘটনায় আরও যেসব মামলায় দায়ের করা হয়েছে ওই সব মামলার যেগুলোতে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে সব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করে হাটহাজারীতে বিক্ষোভ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ সময় হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা নামে পরিচিত দারুল উলুম ময়নুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে মিছিল বের করে হাটহাজারী থানায় ভাঙচুর চালানো হয়। পাশাপাশি হেফাজত কর্মীরা হাটহাজারী উপজেলা ভূমি অফিস ও সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। দিনভর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চার জন নিহত হন। এই ঘটনার জের ধরে হাটহাজারীতে তাণ্ডব চালায় হেফাজত নেতাকর্মীরা। তারা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে। পাশাপাশি মাদ্রাসার সামনে ইটের দেয়াল তুলে ব্যারিকেডও দেয় হেফাজতের কর্মীরা।