প্রতারণার মামলায় রিমান্ডে রিজেন্ট সাহেদ

চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানায় দায়ের করা অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় রিজেন্ট গ্রুপ এবং রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার ( ১৭ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালতের বিচারক মেহনাজ রহমান এ আদেশ দেন।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘ডবলমুরিং থানায় দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

শুনানির সময় সাহেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অন্য একটি মামলায় বর্তমানে শাহেদ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

গত ১৩ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মেগা মার্ট মোটরসের মালিক জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন মো. সাইফুদ্দিন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে মো. সাহেদ নগদ ৩২ লাখ এবং চেকের মাধ্যমে ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মেগা মোটরসের আমদানি করা থ্রি-হুইলার ঢাকা সিটিতে চলাচলের রুট পারমিটসহ চলাচলের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি নিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন সাহেদ। এর জন্য সাহেদ মেগা মোটরসের মালিক জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি নিজ নামে খোলা প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঢাকা অ্যাভিনিউ গেট শাখার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নগদ ৩০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। একই বছরের ২৫ জানুয়ারি প্রিমিয়ার ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখার মাধ্যমে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ৩০ জানুয়ারি পাঁচ লাখ টাকা, ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচ লাখ টাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ছয় লাখ টাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি দুই লাখ টাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই লাখ টাকা, ৫ মার্চ এক লাখ টাকাসহ মোট ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এছাড়া একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ১৮ লাখ, ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় লাখ, ২০ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ও ৭ মার্চ সাত লাখ টাকা মেসার্স মেগা মোটরসের অফিসে এসে নগদ গ্রহণ করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, টাকা গ্রহণ করে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ সাহেদ করিম মেগা মোটরসকে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা একটি পরিপত্রের ফটোকপি দেন। সেখানে ২০০ সিএনজি থ্রি-হুইলারকে ঢাকা সিটিতে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ ছিল। পরে বিআরটিএতে যোগাযোগ করলে পরিপত্রের ফটোকপিটি ভুয়া বলে সেখান থেকে জানানো হয়। তারপর থেকে টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন সাহেদ।