মেজর সিনহা হত্যা মামলার আরেক আসামির আত্মসমর্পণ

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ও পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আত্মসমর্পণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান টেকনাফ থানার সাবেক এই কনস্টেবল।

তবে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২৭ জুন জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।

অন্যদিকে, আরেক আসামি সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মারও জামিন শুনানি এবং মামলার চার্জ গঠনের জন্য আগামী ২৭ জুন দিন ধার্য রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল সাগর মেজর সিনহা হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তিনি পলাতক ছিলেন। দুপুরে আদালতে জামিন শুনানির আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাখেদ খান।

এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান ও টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলাটির তদন্ত করার জন্য র‌্যাবকে আদেশ দেন।

এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তী সময়ে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন জন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেফতার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও। মামলায় গ্রেফতার ১৪ আসামিকে র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদের মধ্যে প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলায় নতুন করে সাগর দেবকে আসামি করা হয়েছে। তিনি ওসি প্রদীপের বিশেষ সহকারীর মতো ছিলেন।