রক মেলন চাষ করে তাক লাগালেন শেখ আহম্মদ

ফেনীর সীমান্তবর্তী উপজেলা পরশুরামে রক মেলন চাষ করে দারুণ ফল পেয়েছেন শেখ আহম্মদ। ফল বিক্রি করে লাভও করেছেন বেশ। এ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন দুই লাখ টাকার রক মেলন। তবে বাকি ফল পাকলে বিক্রি হবে আরও।

উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের উত্তর কাউতলী গ্রামের প্রবাসফেরত শেখ আহম্মদ। সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে শুরু করেন কৃষিকাজ। সম্প্রতি মাথায় ঘুরতে থাকে নতুন কিছু চাষের চিন্তা। চলতি বছর বাড়ির পাশে দুই বিঘা জমি লিজ নেন। চট্টগ্রামের লালদিঘীর পাড়ের দোকান থেকে সংগ্রহ করেন রক মেলনের বীজ। এরপর শুরু করেন চাষাবাদ।

শেখ আহম্মদ বলেন, তার দুই বিঘায় প্রায় তিন হাজার রক মেলন ধরেছে। প্রতিটির ওজন দুই থেকে তিন কেজি। মার্চের শেষের দিকে বীজতলায় চারা তৈরি করেছিলেন। ৭০ দিনেই ফল উঠতে শুরু করেছে। জমি লিজ নেওয়া ও চাষসহ খরচ হয়েছে এক লাখ টাকা।

তিনি বলেন, ‘কোনও সময়ে বীজ বপন, সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে সঠিক জানা ছিল না। যার কারণে কয়েক লাখ টাকার ফল নষ্ট হয়েছে।’ আগামী বছর কৃষি বিভাগের সহায়তা পেলে দুই বিঘাতেই পাঁচ লাখ টাকার রক মেলন বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ আহম্মদ।

feni

সাধারণত বাঁশের মোটা কঞ্চিতে বেয়ে ওঠে লতানো গাছটি। তবে শেখ আহম্মদ তরমুজের মতো মাটিতেই ফলিয়েছেন। রক মেলনের একটি জাতের হলুদ মসৃণ খোসা থাকে, অন্যটির খোসা হয় খসখসে। দুই জাতের স্বাদেও আছে ভিন্নতা।

পরশুরাম বাজারের ফল ব্যবসায়ী মো. মাসুদের কাছে প্রতিকেজি ১৫০ টাকা করে পাইকারি দরে বিক্রি করেছেন রক মেলন। মাসুদ বলেন, ‘রক মেলন অচেনা ফল। মানুষের আকর্ষণ রয়েছে। দোকানে তোলার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রি হয়ে যায়।’

স্থানীয় ক্রেতা মো. ইব্রাহীম জানান, ‘পাকা রক মেলনের স্বাদ মিষ্টি। ভেতরের রঙ পাকা পেঁপের মতো। অন্যটি হালকা সবুজ ও সাদা।’

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, দোআঁশ মাটি এ ফল চাষের জন্য উপযোগী। ক্যালসিয়াম, আয়রনসমৃদ্ধ এ ফল শরীর শীতল ও পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সাধারণ তরমুজের চেয়ে এর স্বাদ ভালো, মিষ্টিও বেশি। এটি লাভজনক ফসল। এর চাষাবাদ বৃদ্ধিতে কৃষককে সহযোগিতা করবে কৃষি বিভাগ।’