রূপগঞ্জে কারখানায় আগুন, হাতিয়ার ৩ শ্রমিক নিখোঁজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নঙ্গলিয়ার চরের তিন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে নিখোঁজদের পরিবার ও স্বজনরা আহাজারি করছেন। খবর পেয়ে এরই মধ্যে গ্রামের বাড়ি থেকে তারা ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন।

নিখোঁজরা হলেন হাতিয়া উপজেলার নঙ্গলিয়ার চরের আবুল বাশারের ছেলে জিহাদ (১৫),  এনায়েত হোসেনের ছেলে বাদশাহ (১৭) ও আবুল কাশেমের ছেলে রাশেদ (২০)। 

উপজেলার চরচেঙ্গা গ্রামের আবুল খায়ের বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, নারায়ণগঞ্জের ওই কারখানায় তার এক ভাতিজা এবং নাতিসহ তিন জন কাজ করে। বৃহস্পতিবার থেকে তাদের কোনও খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ির সঙ্গেও তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। মোবাইলও ব্যবহার করে না তারা। এ অবস্থায় তাদের স্বজনরা গ্রামের বাড়িতে কান্নাকাটি করছেন।

জিহাদের মামা আব্দুল মান্নান বলেন, আমার ভাগনে জিহাদ ওই কারখানায় কাজ করে। বৃহস্পতিবার থেকে তার খোঁজ পাচ্ছি না। আমরা এখন নারায়ণগঞ্জে রওনা হয়েছি।

এদিকে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর এ পর্যন্ত ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। স্বজন হারানোর বেদনায় ভারী হয়ে উঠেছে কারখানা এলাকা। কারখানা থেকে লাশ বের করার সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যায় কান্নার রোল। স্বজনদের আহাজারিতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

শুক্রবার (০৯ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারখানা থেকে এসব লাশ বের করা হয়। এর মধ্যে অধিকাংশই পোড়া লাশ। চেনার উপায় নেই। ইতোমধ্যে ৪৯টি লাশ ফায়ার সার্ভিসের চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ছয় তলা কারখানা ভবনের ওপরের দুই ফ্লোরে এখনও আগুন জ্বলছে। এ পর্যন্ত ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছি আমরা। ভেতরে আর কোনও লাশ আছে কিনা তা খুঁজে দেখছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার বিস্তারিত জানাতে পারবো।