চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সড়কের ইট তুলে নেওয়ার অভিযোগ

দাবিকৃত টাকা না পেয়ে এলজিএসপির অর্থায়নে নির্মিত সড়কের ইট তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা মো. জনি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামে এলজিএসপির অর্থায়নে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে কল্যান্দি হাইস্কুল শাহাজীরহাট দুর্গা মন্দির থেকে সুবল সাহার বাড়ির দরজা পর্যন্ত ৬২০ ফুট ইটের সলিংয়ের কাজ শুরু করেন চেয়ারম্যান রুহুল আমিন। পরে আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকার জন্য আমাদের বাড়িতে ও দোকানে তিনি লোক পাঠিয়েছেন। ওই টাকা না দেওয়ায় চেয়ারম্যান সড়ক থেকে বসানো ইট তুলে নিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা অসুস্থ। তাকে নিয়ে সপ্তাহের ২/৩ দিন জেলা শহরে যেতে হয়। এমতাবস্থায় সড়কের বেহাল দশার কারণে খুবই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দপত্র অনুযায়ী এক নম্বর ইট দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও, নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। তার ওপর দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় ইট তুলে নেওয়ার ঘটনায়ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জহির হোসেন স্বপন অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে ওই সড়কের প্রায় ১২০ ফুটের ইট তুলে নিয়ে গেছেন। এতে জনগণ ভোগান্তিতে পড়েছে।

চেয়ারম্যান রুহুল আমিন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সড়কটি ছয় ফুটের জায়গায় সাত ফুট চওড়া করছেন। ফলে ৬২০ ফুটের স্থলে ৫৪০ ফুট থেকে কাজ করেছেন।

তবে বাড়তি কাজের জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করার প্রশ্ন আসে না বলে তিনি জানান।

জেলা এলজিএসপি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি সরেজমিন গিয়ে অর্ডার অনুযায়ী কাজ বুঝে নেওয়ার পর বিল দেব। কাজ কম বা বেশি করার কোনও সুযোগ নেই। এলাকাবাসীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করারও বিধান নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে আমিও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করবো।