বডি ম্যাসাজের জন্য ডেকে সেলুনে গলা কেটে হত্যা, পরে বস্তাবন্দি

কুমিল্লার ময়নামতিতে ভাঙারি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনকে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে রাখার ঘটনায় সেলুনের মালিক লক্ষ্মণ চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দেলোয়ারকে সেলুনে ডেকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে রেখেছে বলে পিবিআইকে জানিয়েছে লক্ষ্মণ চন্দ্র। 

এ ঘটনায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য সোমবার (২৩ আগস্ট) লক্ষ্মণকে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে রবিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বরুড়া উপজেলার চিতৌশি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাতে ‘লক্ষ্মণ হেয়ার কাটিং’ সেলুন থেকে দেলোয়ারের গলা কাটা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। দেলোয়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার জাহের আলীর ছেলে। ঘটনার পরপরই সেলুনের মালিক লক্ষ্মণ চন্দ্র পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কুমিল্লার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, দেলোয়ারের কাছে তিন লাখ টাকা পাওনা ছিল লক্ষ্মণ চন্দ্র। ওই টাকা নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল তাদের। গ্রেফতারের পর লক্ষ্মণ আমাদের জানিয়েছে পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি দেওয়ায় দেলোয়ারকে ডেকে আনা হয়। এরপর সেলুনে বসিয়ে বডি ম্যাসাজ চলা অবস্থায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ বস্তাবন্দি করে দোকানে লুকিয়ে রাখা হয়।