‘সিআরবি নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে’

সিআরবি নিয়ে ষড়যন্ত্র পরিহার করুন, না হয় দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। 

তিনি বলেছেন, সিআরবিকে যারা ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে, সরকার তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সরকার ইচ্ছা করলে রেলের বর্তমানে বক্ষব্যাধি যে হাসপাতাল আছে এটিকে কোভিড হাসপাতালে পরিণত করতে পারে। বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ভেঙে আধুনিক সুন্দর একটি কোভিড হাসপাতাল তৈরি করা সম্ভব। এটি কোভিড হাসপাতাল হলে করোনাকালীন সময়ে জনগণ সেবা পাবে। সরকার ৫০-১০০ কোটি টাকা বাজেট দিলেই একটি কোভিড হাসপাতাল হয়ে যাবে। কিন্তু সেটি না করে শতবর্ষী গাছ কেটে চট্টগ্রামের পরিবেশ ধ্বংস করতে নেমেছে তারা। এই সরকার জনগণের সরকার নয়।

সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকালে সিআরবি এলাকায় আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের একমাত্র নৈসর্গিক মুক্তাঙ্গন, হেরিটেজ জোন সিআরবিতে বাণিজ্যিক হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল, মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের কবর ও স্মৃতির স্মারক রক্ষা এবং সিআরবির নৈসর্গিক পরিবেশ রক্ষার রাখার দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জাতীয়বাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন এবং ১১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। এ ছাড়া জেড ফোর্সের সর্বাধিনায়ক ছিলেন। সরকার জিয়া পরিবারকে নিয়ে খেলায় নেমেছে। করোনাকালীন সময়ে টিকা নিয়ে কারচুপি করেছে সরকার। গণটিকা নিয়ে গণ-কারচুপি হয়েছে। সরকারের এসব ব্যর্থতা ঢাকার জন্য কতক্ষণ পরীমণি ইস্যু, আবার অন্য ইস্যু। এখন আবার শুরু করেছে জিয়া পরিবার নিয়ে । সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে একের পর এক নাটক করতেছে। পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দিতে দেশপ্রেমী জনতা, পরিবেশপ্রেমী, যুব ছাত্র-জনতা প্রস্তুত আছে। সিআরবি নিয়ে ষড়যন্ত্র পরিহার না করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। 

মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, বহু জায়গায় হাসপাতাল নির্মাণ করা যাবে। কিন্তু হাজার কোটি টাকা দিয়েও আর একটি সিআরবি পাওয়া যাবে না। সিআরবির অপূর্ব এই পরিবেশকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। সিআরবির পরিবেশ প্রকৃতি বিপন্ন করে হাসপাতাল করতে দেওয়া হবে না। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম শহিদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আলিফ উদ্দিন রুবেল, নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সামিয়াত আমিন জিসান, সাবেক সহ-সভাপতি এন মোহাম্মদ রিমন, খোরশেদ আলম টিটু ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান।