কুবির বাস স্টাফকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো ‘অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট’ 

অ্যাম্বুলেন্স চালক সিন্ডিকেটের সংঘবদ্ধ হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক বাস স্টাফ। আহত ওই স্টাফের নাম আব্দুস সাত্তার। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার টাওয়ার হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার কুবির একটি বাস নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে কান্দিরপাড় আসছিল। এ সময় কান্দিরপাড় থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স উল্টোপথে আসছিল।  এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস স্টাফ ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পাঁচ থেকে সাত জন ব্যক্তি বাসের হেলপার আব্দুস সাত্তারকে টেনে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করে। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালে নেওয়া হয় গুরুতর আহত আব্দুস সাত্তারকে।

কুবির পরিবহন পুলের কর্মকর্তা জাহিদুল আলম বলেন, কবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমাদের বাসের সহযোগীকে অনেক মারধর করা হয়েছে। তাকে সেখান থেকে টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। সে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।

বাসের স্টাফের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনার পরপরই সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালক ও তার সহযোগী পালিয়ে গেছে। অ্যাম্বুলেন্সটি কোতোয়ালি থানা পুলিশ জব্দ করেছে। একজন পুলিশ সদস্যকে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করার জন্য বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কোতোয়ালি থানা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি মিটিং করেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটটি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সিন্ডিকেট ভঙ্গের জন্য তারা পুলিশের কাছে আইনি সহায়তা চেয়েছেন, পাশাপাশি আহত স্টাফের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজীম বলেন, কথা কাটাকাটির জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সহকারীকে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মেরেছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সম্ভবত কসবা থানার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার। আর এ ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরেই আরও একবার কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতাল থেকে অসুস্থ বাবাকে ঢাকা নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সিন্ডিকেটের হাতে আহত হয়েছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। তখনও এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।