ব্যবসায়ী কায়সার হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন

ফেনীতে আলোচিত ব্যবসায়ী কায়সার মাহমুদ হত্যা মামলায় স্ত্রী শাহনাজ নাদিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফেনী জেলা দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা এ রায় ঘোষণা করেন। এরপর শাহনাজকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ জানান, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিবেচনায় কায়সার মাহমুদের স্ত্রী ও মামলার প্রধান আসামি শাহনাজকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান কবির জানান, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নির্ভর রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা যথাযথ রায় পাইনি। শিগগিরই উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

কায়সার মাহমুদের ভগ্নিপতি সাইফ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় পাইনি। এ রায়ে কায়সার মাহমুদের পরিবার আশাহত। শাহনাজ আত্মস্বীকৃত খুনি। তার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল।

মামলার নথিতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রামপুর ভূইয়া বাড়ি সড়কস্থ নজির সওদাগর বাড়ির প্রফেসর আবুল খায়েরের ছেলে কায়সার মাহমুদের সঙ্গে আনন্দপুর ইউনিয়নের বন্দুয়া দৌলতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে শাহনাজের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। ২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল বিকালে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর জন্য কায়সারদের বাসায় আসেন তিনি। দুই জনই ডাক্তার দেখানোর জন্য বাসা থেকে বের হন। ওইদিন রাতে ফালাহিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কায়সারকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার সঙ্গে শাহনাজ ছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলতাফ হোসেন বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ মামলার বাদী প্রফেসর আবুল খায়ের, ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। কায়সার হত্যা মামলায় ২৯ জনকে সাক্ষী করা হয়।