কসবা উপজেলার নবগঠিত যুবদলের কমিটির মিছিলে পুলিশি বাধায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিএনপির অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন। বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীও এসময় আহত হন। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক ইমুকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, গত ১২ জুন কসবা উপজেলা যুবদল ও পৌর যুবদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে এই কমিটির তথ্য গত ৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে সোমবার সকালে কসবা উপজেলা যুবদলের নবগঠিত কমিটির আহবায়ক মাসুদুল হক দীপুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অনন্তপুরের বালুর মাঠ থেকে মিছিল বের করে। পরে অনুমোদন না থাকায় পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এছাড়া মোহনা টিভির কসবা প্রতিনিধি সাংবাদিক হারুন অর রশিদ ডালি, সময় টিভির ক্যামেরাপারসন জুয়েল রহমান, এটিএন নিউজের ব্যুরো প্রধান পীযুষ কান্তি আচার্য ঢিলের আঘাতে আহত হন।
কসবা থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মিছিল করার অনুমতি ছিল না। এ কারণে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। তারা বাধা না মানার কারণে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।