কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির কমিটি প্রত্যাখ্যান করে ঝাড়ু মিছিল

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে তা বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। তারা উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার ও যুগ্ম-আহ্বায়ক আহসান উল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।

শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বসুরহাট পৌরসভা এলাকার বসুরহাট বাজারে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক শ’ নেতাকর্মী এ কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাহাজানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘কালো টাকার কমিটি মানি না, মানবো না।’

ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী অভিযোগ করে বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের এক নেতার কাছ থেকে জেলা বিএনপির নেতারা টাকা খেয়ে উপজেলা বিএনপির দুই নম্বর সদস্য করেছে। তার এক অনুসারীকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক করেছে। এ ছাড়া ৪৮টি পদের মধ্যে ৪০টি পদ দেওয়া হয়েছে ওই জামায়াত নেতার অনুসারীদের। যারা প্রকৃত বিএনপি করে, তাদের পদ-বঞ্চিত করা হয়েছে।’ 

এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কমিটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির প্রবীণ নেতা কাজী একরাম নতুন কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। একরাম বলেন, ‘এ কমিটিতে পদায়নের ক্ষেত্রে সিনিয়র-জুনিয়র মানা হয়নি। নতুন ঘোষিত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদারের বিরুদ্ধে সরকার দলের সঙ্গে আঁতাত করে রাজনীতি করার অভিযোগ রয়েছে। তাই তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের যোগ্য নন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ঘোষিত উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ত্যাগী নেতা কামাল উদ্দিন চৌধুরীকে এ কমিটিতে যথাযথ স্থানে রাখা হয়নি। যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার বলেন, ‘কমিটি তো আমি করিনি। কেউ মুখে মুখে পদত্যাগের কথা বললে তার কোনও মূল্য নেই। লিখিত পেলে, এ বিষয়ে আমরা পরে কথা বলবো।’

জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি টাকা খেয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘দলের সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ কমিটি দেওয়া হয়েছে।’