কবিরহাট উপজেলা বিএনপির কমিটিকে ঝাড়ু দেখালেন পদবঞ্চিতরা 

নোয়াখালী জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে টাকা খেয়ে পকেট কমিটি দেওয়ার অভিযোগে সদ্য ঘোষিত কবিরহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিকে প্রত্যাখান করেছেন নেতাকর্মীরা। কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছেন উপজেলা বিএনপির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। রবিবার (১০ অক্টোবর) কবিরহাট পৌরসভার কবিরহাট বাজারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

এ সময় কবিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কবিরহাট উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ’ নেতাকর্মী ঝাড়ু ও জুতা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি কবিরহাট বাজারের প্রধান সড়কে আসলে পুলিশ বাঁধা দিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।

বিক্ষোভকারীরা ঘোষিত আহবায়ক কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। তারা অভিযোগ করেন টাকা খেয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত কমিটি বাতিল করে সাংগঠনিক অবস্থায় গতি আনার দাবি জানান তারা। দাবি মানা না হলে, পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ও পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন তারা। 

কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা ফরহাদ অভিযোগ করেন, ঘোষিত এ কমিটিতে পদায়নের ক্ষেত্রে সিনিয়র-জুনিয়র মানা হয়নি। জেলা বিএনপির সভাপতি অর্থের বিনিময়ে এখানে জুনিয়র একজনকে সদস্য সচিব বানিয়েছেন। যার ভাই ও পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ করে। আওয়ামী লীগের তদবিরে তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। আমাদের দাবি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ঘোষিত কমিটি পুনর্বহাল করা হোক। 

কবিরহাট উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্য সচিব কামাল হোসেন অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ১৯৮৯ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে আমি কবিরহাট কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। আমি ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে শুরু করে ২০১৪ সালে কবিরহাট পৌরসভার বিএনপির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হই। এরপর ২০১৭ সালে আমি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই। তারপর ২০১৯ সালে পুনরায় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই। এভাবে রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় আমি বর্তমানে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়েছি। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মকাণ্ড করায় আমার বিরুদ্ধে একাধিক রাজনৈতিক মামলা দেয়। 

তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, নাজমুল হুদা ফরহাদের পরিবার আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলে।

জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি বলেন, অর্থের বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি কাল্পনিক। ত্যাগী ও যোগ্যদের দিয়ে কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।