সরেজমিনে রাজনীতিকরা

‘কুমিল্লার ঘটনা সরকারের ব্যর্থতা’

কুমিল্লার ঘটনায় সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন কয়েকজন রাজনীতিক। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির উত্তর পাড় এলাকা পরিদর্শন করেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ আরও অনেকে। সেখানে তারা অভিযোগ করেন, ‘কুমিল্লার ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে।’

সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এই ঘটনায় লোক দেখানো ধরপাকড়ের নামে ঘটনাটি অন্যখাতে প্রবাহিত করতে চাইছে সরকার। কারণ বর্তমান সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। এত পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ঘটনাটি ঘটলো। তা দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক। এতো বড় ঘটনা ১৯৪৭-এর পরও আর ঘটেনি। পুলিশ দিয়ে মসজিদ ও মন্দির পাহারা দিতে হয়নি। এখন পুলিশ দিয়ে কেন পাহারা দিতে হবে। কারণ মানুষের মনকে বিষিয়ে তোলা হচ্ছে। সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে, এসব ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এটা সরকারের  এবং আমাদের ব্যর্থতা। তাই সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকার গঠন করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘রামু থেকে নাসিরনগর এবং আজকের কুমিল্লা পর্যন্ত সব ঘটনাই একই ধরনের। তবে কোনও ঘটনার বিচার হয়নি। কোথাও পবিত্র কোরআন আবার কোথাও নবীর অবমাননা। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে তারপর হামলা এবং ভাঙচুর। সরকারের ব্যর্থতায় এটি কুমিল্লার ঘটনা ঘটেছে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ভাসানী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্রচিন্তার নঈম জাহাঙ্গীর, বিএনপি নেতা ইশতিয়াক আজিজ ঊলফাত, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ। তারা নানুয়ার দীঘিরপাড় ছাড়াও দেশওয়ালী পট্রি, কাপড়িয়া পট্রি, ছাতিপট্টি ও জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সদস্যরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নীম চন্দ্র ভৌমিক, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, শ্যামল রায়, চন্দ্রন ভৌমিক, কুমিল্লা জেলা সভাপতি চন্দ্রন রায় ও তাপস বকসি প্রমুখ।