গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘নদী অববাহিকায় সবার অধিকার আছে। উজানের দেশ বলে ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহার করতে পারবে না। এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর তারা এই কাজটাই চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার ছিল। গণ-অভ্যুত্থানে তারা পালিয়ে গেছে। ভারতকে এটা বুঝতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ সারা পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায়। ভারতসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক চায়।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নদী রক্ষা আন্দোলনের ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ দুই দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধনী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এখানে সব থেকে বেশি দরকার মানুষের ঐক্য। মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ফ্যাসিস্ট সরকারকে তাড়িয়ে দেওয়া জায়েজ আছে। বাংলাদেশের সামনে এখন অসাধারণ ভবিষ্যৎ। পৃথিবী আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এটা সম্ভব শুধু মানুষের ঐক্যের মাধ্যমে। এটা মানুষের ঐক্যের লড়াই।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বলতে চাই, অবিলম্বে তিস্তাসহ ৫৪টি নদীর বিষয়ে তারা কথা বলবেন। আন্তর্জাতিক ফোরামে যেতে হবে। কনভেনশনগুলোতে স্বাক্ষর করতে হবে। আগামীতে যে নির্বাচিত সরকার আসবে তারাও এই কাজগুলো করবে।’
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্র বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সমন্বয়ে নদী রক্ষা আন্দোলন ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগান নিয়ে তিস্তা নদীর ১৩টি পয়েন্টে টানা ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন হচ্ছে। এতে বিএনপি, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা অংশগ্রহণ করে।
লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীসহ উত্তরের ১১টি স্থানে একযোগে দুদিনব্যাপী চলবে ভিন্নধর্মী এ প্রতিবাদ। তিস্তাপাড়ের ২৪২ কিলোমিটার অববাহিকায় অনুষ্ঠিত হবে পদযাত্রা। থাকছে লোকজ গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ খেলাধুলাসহ নানা আয়োজন। ব্যানার প্ল্যাকার্ডে তিস্তা বাঁচানোর দাবি। নদীর মাঝখানে বসানো হয়েছে রঙ-বেরঙের তাঁবু। প্রতিবাদে এ এক ভিন্নতা।