ফিরতে পারেননি সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া ৩ শতাধিক পর্যটক

বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া তিন শতাধিক পর্যটক আজও ফিরতে পারেননি। সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোনও নৌযান চলাচল না করায়, তাদেরকে আরও একদিন থাকতে হবে।

এর আগে, রবিবার (১৭ অক্টোবর) বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল হওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলারসহ নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে তারা সেখানে আটকে পড়েন।

এদিকে, সোমবার পর্যটকরা ফিরতে না পারার খবর শুনে বোট মালিক সমিতির লোকজন জেটিতে এসে ভিড় করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে পর্যটকদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।

সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়েছেন তিনশ’ পর্যটক

সেন্টমার্টিন কোস্ট গার্ড স্টেশন কর্মকর্তা লে. তারেক আহমেদ জানান, সোমবার সকাল থেকে ঝড়োবৃষ্টি থাকলেও বিকালে অবস্থা স্বাভাবিক ছিল। এ কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে নৌযান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ট্রলার মাঝিরা বিকাল হয়ে যাওয়ায় কোনও ট্রলার ছাড়েননি। এ নিয়ে একটু হইচই হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।

বোটমালিক সমিতির লোকজনের সঙ্গে সোমবার দুপুরে পর্যটকদের বাগবিতণ্ড হয়

তিনি জানান, আজও পর্যটকদের দ্বীপে থাকতে হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে সব ঠিক থাকলে ফিরতে পারবেন তারা। তবে আমরা এখানে পর্যটকদের খোঁজ-খবর রাখছি, যাতে তাদের কোনও অসুবিধা না হয়। 

ঢাকা থেকে ভ্রমণে আসা রাকিবুল হাসান মাসুম বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় সোমবার কোনও বোট ছাড়েনি। এতে আমার মতো অনেকেই দ্বীপ থেকে ফিরতে পারেননি। এতে চাকরিজীবীরা বিপদে পড়েছেন। এছাড়া এখানে আটকে পড়ার ফলে অনেক খরচ বেড়ে গেছে। বোট মালিকদের সদিচ্ছা না থাকায় আমরা বিপদে পড়েছি।

সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, আজ বিকাল থেকে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। কারণ দ্বীপ থেকে একটি ট্রলার টেকনাফ পৌঁছাতে তিন ঘণ্টা লাগে। তার মধ্য সাগরের অবস্থা খারাপ হলে ঝুঁকি থাকে। তাই আজও দ্বীপ থেকে কোনও ট্রলার ছাড়েনি। ফলে ভ্রমণে আসা তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ পারভেজ চৌধুরী জানান, সাগরের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও বিকাল হওয়ায় দ্বীপ থেকে কোনও ট্রলার ছাড়েনি। তবে দ্বীপে থাকা পর্যটকদের যাতে কোনও ধরনের সমস্যা পরতে না হয়, সেজন্য সব সময় খোঁজখবর রাখছি। তবে অনেকে ফিরতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে। আশা করছি, সাগরের অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে মঙ্গলবার সকালে পর্যটকরা দ্বীপ ছাড়তে পারবেন।