চাঁদপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার সূত্র ধরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হলো।

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম সাগর (২৫)। হাজীগঞ্জ বাজারের ডিগ্রি কলেজ রোডসংলগ্ন এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামে। তিনি ট্রাকচালক ছিলেন। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সাগরের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশীদ।

ওসি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় তিন হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

সাগরের বাবা মো. মোবারক হোসেন জানান, গত ১৪ অক্টোবর রাতে হাজীগঞ্জ বাজারে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিলে মৃত্যু হয়।

একই ঘটনায় টাইলস মিস্ত্রি চাপাইনবাবগঞ্জের সুন্দরপুর বাগডাঙা এলাকার শামসুর রহমানের ছেলে মো. বাবলু (৩৫), হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রান্ধনী মোড়ার তাজুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (১৮), একই এলাকার মো. ফজলুর ছেলে ইয়াছিন হোসেন হৃদয় (১৪) ও পৌরসভার রান্ধনী মোড়ার বাচ্চুর ছেলে মো. শামীমের (১৯) মৃত্যু হয়।

গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় তৌহিদী জনতার ব্যানারে মিছিল বের করে লক্ষ্মীনারায়ণ আখড়ায় হামলা চালানো হয়। এ সময় তাদের বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। তখন পুলিশ গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে চার জন নিহত ও পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়।