খাগড়াছড়ির রামগড়ের পিলাক খাল থেকে অবৈধভাবে কোটি টাকার বালু উত্তোলনের দায়ে একজনকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা, বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়েছে। তবে মূল হোতারা ধরা পড়েনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (২০ অক্টোবর) ১২টার সময় রামগড় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মজুমদার পিলাকঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে রামগড় পৌরসভার বল্টুরাম টিলা গ্রামের মুসলিম মিয়ার ছেলে মো. সেলিমকে ঘটনাস্থলে পেয়ে জরিমানা করার পাশাপাশি ড্রেজার মেশিনসহ মালামাল জব্দ করেন।
ইউএনও উম্মে হাবিবা মজুমদার বলেন, জনপ্রিয় অনলাইন বাংলা ট্রিবিউনে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত সংবাদ প্রশাসনের নজরে আসে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১১ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে অপরাধীকে আর্থিক জরিমানা করা হয়। এর নেপথ্যে যত ক্ষমতাশালী থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, প্রায় দেড়মাস ধরে তিনটি মেশিনে পিলাক খাল থেকে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করা হয়। প্রায় পাঁচ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হয়েছে। যার বাজারদর আনুমানিক এক কোটি টাকা। উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারির অনুসারী জিয়া এবং নয়ন এই কাজে জড়িত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারি এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও বালুমহলটি অবৈধ এবং তার অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে জানান। তিনি এই বিষয়ে সংবাদ প্রচার না করারও অনুরোধ করেছিলেন।