বিয়েবাড়িতে সেলফি তোলা নিয়ে সংঘর্ষ, কনের মাসহ আহত ১১

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিয়েবাড়িতে সেলফি তোলা নিয়ে সংঘর্ষে কনের মাসহ উভয়পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাতে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আহমদ মিয়া বাজারের পাশে কনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন বরপক্ষের ইয়াসমিন আক্তার (৩০), সালমা আক্তার (২৮), বরের ভাই মো. মিরাজ (৩৩), মো. মুরাদ (৩০), মো. রুবেলসহ (১৫) আট জন এবং কনের মা কুলসুমা বেগম (৩৫), তার আত্মীয় আনোয়ারা খাতুনসহ (৭০) তিন জন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানায়, চার মাস আগে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. মিলনের (২৫) সঙ্গে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাশেদ উদ্দিনের মেয়ে রাশেদা বেগমের (১৯) বিয়ে হয়।। 

বুধবার কনেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বরযাত্রী আসার পর যথা সময়ে শুরু হয় আপ্যায়ন। শেষে বর-কনেকে একমঞ্চে এনে বিদায় দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে সেলফি তোলা হয়। এ সময় কনেপক্ষের এক নারীর সঙ্গে বরপক্ষের লোকজনের ধাক্কা লাগলে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। একপর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে কনের মাসহ উভয়পক্ষের ১১ জন আহত হন।

বরের বড় ভাই মো. মিরাজ বলেন, খাওয়া-দাওয়া শেষে বিদায় নেওয়ার সময় বর-কনেকে একমঞ্চে আনা হয়। এ সময় সেলফি তোলা নিয়ে নারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সুযোগে কনেপক্ষের কিছু উত্তেজিত লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের আট জন আত্মীয়-স্বজন আহত হন।

কনের বাবা রাশেদ উদ্দিন বলেন, আমরা আগে থেকে একে অপরের আত্মীয়। এখানে আমাদের অনেক নারী স্বজন ছিল। তারা ছবি তুলতে গিয়ে নারীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। তবে সামান্য বিষয় নিয়ে এত বড় একটা ঘটনা ঘটবে, তা আশা করিনি।

হাতিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিদারুল ইসলাম খান বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে কনের বাড়িতে যাই। উভয়পক্ষকে শান্ত করে আহতদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। 

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এ নিয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।