পাহাড়ে কাঠ কুড়াতে যাওয়া নারীকে ধর্ষণ-হত্যা, আসামির ফাঁসি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে জসীম উদ্দীন বাপ্পি (৫০) নামে এক আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জামিউল হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর সরকারি কৌঁসুলি নিখিল কুমার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আসামি জসীম উদ্দীন বাপ্পির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ফাঁসির আদেশ দেন। মামলায় আরও চার আসামি ছিলেন। এর মধ্যে দুজন কারাগারে মারা গেছেন। মামলায় শরীফ ও আইয়ু্ব নামে আরও দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শরীফ রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আইয়ুব দীর্ঘদিন ধরে পলাতক।’

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা এলাকার একটি পাহাড়ে রান্নার জন্য কাঠ আনতে যান ওই নারী। একা পেয়ে আসামিরা তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর বাপ্পির ছুরিকাঘাত করে ভুক্তভোগীকে হত্যা করে। ঘটনার একদিন পর ওই নারীর ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে ধর্ষণের পর হত্যার প্রমাণ মেলে। পরের দিন ৩০ মার্চ অজ্ঞাতদের আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর মেয়ে। পরে আসামি জসীম উদ্দীন বাপ্পিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাপ্পি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয়। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।