সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শহরের হোটেল হিলবার্ড চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়।
এ সময় কাজী মজিবর রহমান বলেন, ১৯৯৭ সালে সরকারের সঙ্গে করা শান্তিচুক্তি মানছে না সন্তু লারমার মদতপুষ্ট জেএসএস বাহিনী। সন্তু লারমা বেইমানি করেছেন। তার মদতপুষ্ট জেএসএস (মূল) সন্ত্রাসীরা বান্দরবানের রুমায় সেনা টহলের ওপর গুলিবর্ষণ করে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানকে হত্যা করেছে। এতে সেনাবাহিনীর আরেক সৈনিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এটি রাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি। এসব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেবো আমরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের জেলা সহ-সভাপতি (অব.) ক্যাপ্টেন তারু মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি এম রুহুল আমিন, নুরুল আলম, আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দীনসহ শতাধিক নেতাকর্মী। পরে নিহত সেনা কর্মকর্তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন নেতারা।
উল্লেখ্য, বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার বথি পাড়ায় সেনাবাহিনীর টহল দলকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান নিহত হন, আহত হন সৈনিক মো. ফিরোজ। পরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তিন জন সন্ত্রাসীর লাশ উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে একটি এসএমটি, তিনটি বন্দুক, ২৮০ রাউন্ড গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহিনীর দাবি, সন্ত্রাসীরা জেএসএসের সদস্য।