যুবলীগকর্মী হত্যা, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা 

কুমিল্লার হোমনায় ইন্টারনেট ক্যাবল ব্যবসায়ী যুবলীগকর্মী সালাহ উদ্দিন প্রকাশ জহিরকে (২৮) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মামলায় উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন পাঠান ও তার ভাতিজা মোকবল পাঠানসহ ৪৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিহতের বড় বোন পারুল আক্তার বাদী হয়ে হোমনা থানায় মামলাটি করেন। এতে ২৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হোমনা থানার ওসি আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। সবাই পলাতক রয়েছে।

থানা ও মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আসাদপুর ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর গ্রামের পূর্ব পাশে তেভাগিয়া বেইলি ব্রিজে দুর্বৃত্তরা স্থানীয় ক্যাবল ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন প্রকাশ জহিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। ওই সময় তিনি রামকৃষ্ণপুর বাজার থেকে ঘনিয়ারচর গ্রামের নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পরপরই রাত ১২টার সময় তিনি মারা যান।

অভিযোগ উঠেছে, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সালাহ উদ্দিন একই ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর গ্রামের মো. রেনু মোল্লার ছেলে। এদিকে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এলাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।