স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে ৩ মাসের শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা

কুমিল্লায় পারিবারিক কলহের জেরে তিন মাস ১০ দিন বয়সী কন্যাসন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন মা। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের শালচর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুটির নাম উম্মে সাইফা। এ ঘটনায় দুপুরে মা ছামিয়া আক্তার বকুলকে (২০) আটক করে চান্দিনা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের শালচর গ্রামের আলী আশরাফের মেয়ে ছামিয়া আক্তার বকুলের সঙ্গে একই ইউনিয়নের খৈছাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে ওমর ফারুকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। তিন মাস আগে বকুল কন্যাসন্তানের মা হন। 

পারিবারিক কলহের কারণে কিছুদিন ধরে সন্তানসহ বাবার বাড়িতে ছিলেন বকুল। এ নিয়ে রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক হয়। সালিশে মা ও শিশুসন্তানকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। 

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বকুল তার কন্যাসন্তানকে শালচর এলাকার একটি ডোবায় পানিতে ফেলে দেন। স্থানীয়রা শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। উম্মে সাইফার মা ছামিয়া আক্তার বকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পানিতে ফেলে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বকুল। এ ঘটনায় চান্দিনা থানায় হত্যা মামলা করেছেন শিশুর বাবা মো. ওমর ফারুক। ছামিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

ওই গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বরকইট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া চলছিল। সালিশে মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিই আমরা। এরই মধ্যে শিশুসন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন ছামিয়া আক্তার বকুল। কেন তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তা আমরা জানি না।