ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অবস্থা ঘুরে দেখলেন ১০ দেশের প্রতিনিধি 

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে রোহিঙ্গাদের অবস্থা ঘুরে দেখেছেন ১০ দেশের প্রতিনিধি। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে তারা ভাসানচরে পৌঁছান।

কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসাডর অ্যান্ড হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি, জার্মানির রাষ্ট্রদূত এচিম থ্রস্টার, ইউএসএ’এর চার্জ ডেলিগেট অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ, কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং ক্যাং, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত এলান এল ডেনিগা, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এস্পেন রিক্টার, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডি, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনিন এস্ট্রার্প পিটারসন ও ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নানজিয়াটা ভাসানচর পরিদর্শন করেন। 

একই সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দলও উপস্থিত ছিল। ১০ দেশের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বয়সের রোহিঙ্গা সদস্যদের সঙ্গে তাদের সুযোগ-সুবিধা এবং জীবনযাত্রার মানসহ সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন। তারা ভাসানচরের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

ভাসারচর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ১০ দেশের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রকল্প ও উন্নয়ন সংস্থার কার্যক্রম ঘুরিয়ে দেখানো হয়। 

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) গোবিন্দ চাকমা জানান, রোহিঙ্গাদের অবস্থান পর্যবেক্ষণে ভাসানচরে ১০ দেশের প্রতিনিধি এসেছিলেন। তারা বিভিন্ন ক্লাস্টারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ফলে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের চাপ সামলাতে সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসমানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়। ওই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে ২২ হাজার ৬০৪ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।