হেফজখানায় কম্বলের ভেতর ছাত্রের গলাকাটা লাশ, মাদ্রাসার ৩ শিক্ষক আটক

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ ইউনিয়নের আল্লামা শাহ আছিয়র রহমান হেফজখানা থেকে ছাত্রের (৭) গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তিন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। 

শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে মাদ্রাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন-মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক রুস্তম আলী, জাফর আহমদ এবং একই মাদ্রাসার অছিয়র রহমান একাডেমির শিক্ষক শাহাদাত হোসেন। 

এর আগে বেলা ১১টার দিকে ওই ছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। খবর পাওয়ার পরই চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, বোয়ালখালী থানার ওসি আবদুল করিমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।

লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তিন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী মাদ্রাসার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দিলে গ্রামবাসী শান্ত হয়।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদ্রাসা থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার

বোয়ালখালী থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, শনিবার বেলা ১১টার দিকে মাদ্রাসার দোতলার একটি কক্ষ থেকে হেফজ বিভাগের ওই ছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। তার লাশ কম্বলে মুড়িয়ে রাখা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার তিন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

মাদ্রাসার পরিচালক শাহজাদা শেখ মো. সানাউল্লাহ বলেন, শনিবার সকালে সবার সঙ্গে ফজরের নামাজ পড়েছে ওই ছাত্র। এরপর ছবকও নিয়েছিল। ৭টার দিকে নাশতা করতে যাওয়ার পর তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে মাদ্রাসার দোতলায় হেফজখানার ছাত্ররা লাশ দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।