কক্সবাজারে যুবককে কুপিয়ে হত্যায় আ.লীগের ৪ নেতা বহিষ্কার 

কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীতে সরকারি সেচ প্রকল্প নিয়ে বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় স্থানীয় যুবক মোর্শেদ আলীকে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা আলালসহ সাত জনকে বহিষ্কার করা হয়। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ইফতারি কিনতে যাওয়া যুবককে বাজারে কুপিয়ে হত্যা

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পিএমখালীর চেরাংঘর বাজার এলাকায় অভিযুক্তরা মোর্শেদ আলীকে রাস্তায় ফেলে লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মোর্শেদ আলী পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে।
 
এ সময় আ.লীগ নেতা সিরাজুল মোস্তফা আলাল ঘোষণা দেন, ‘তাকে উপরের নির্দেশে মেরে ফেলা হচ্ছে, কেউ কাছে আসবে না।’ 
 
এ ঘটনায় শনিবার (৯ এপ্রিল) বিকালে নিহতের ভাই জাহেদ আলী বাদী হয়ে সিরাজুল মোস্তফা আলালসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

এরআগে, মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মাহমুদুল করিম ও তিন যুগ্ম আহবায়ক জসিম উদ্দিন, ছৈয়দ রেজাউর রহমান ও টিপু সুলতান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজুল মোস্তফা আলাল, জয়নাল আবেদীন হাজারী, আবু তাহের ও আবদুল মালেককে দলের স্ব স্ব পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। 

যুগ্ম আহবায়ক ও ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে আলোচিত মোর্শেদ আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
 
এদিকে একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সদর উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আবদুল মালেক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আক্কাস উদ্দিন এবং পিএমখালী ইউনিয়ন সভাপতি আরিফকে স্ব স্ব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
 
গত মঙ্গলবার রাতে জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর তাদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত জানান। তিনি জানান, মোর্শেদ আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।