ঋণের বোঝা সইতে না পেরে বর্গাচাষির ‘আত্মহত্যা’

ঋণের বোঝা সইতে না পেরে রবীন্দ্র বিশ্বাস (৫৫) নামে এক ব্যক্তি বটগাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কুটুই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রবিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। রবীন্দ্র বিশ্বাস উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কুটুই গ্রামের গিরিশ বিশ্বাসের ছেলে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় দেবেন্দ্র সন্ন্যাসীর মন্দিরের পাশে তার লাশ ঝুলে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিক পুলিশে খবর দেয়। পরে রবিবার সকালে চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার সিংহ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান।

নিহতের ছেলে সুজিত বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবা খুব কষ্ট করে সংসার চালাতেন। আমাদের কোনও জমিজমা না থাকায় তিন মাস আগে ১২ হাজার টাকা দিয়ে তিন কানি জমি বর্গা চাষ করেছিলেন। কিন্তু গত ৮ এপ্রিলের শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ছাড়াও প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ঋণ করে বাবা তিন বোনের বিয়ে দেন। সেই ঋণের টাকা এখনও পরিশোধ করতে পারেননি। অভাবের কারণে বাবা এলাকার একাধিক দাদন ব্যবসায়ীর দ্বারস্থ হয়ে সুদের মাধ্যমে টাকা নেন। সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দাদন ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় বাড়িতে এসে তাড়া দেন। উপায় না পেয়ে বাবা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাসিরনগর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।