গৃহবধূর মৃত্যু: মায়ের দাবি নির্যাতনে, ননদ বলছে প্যারাসিটামল খেয়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেসি আক্তার বিথি (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৩ মে) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে তাকে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিথির মায়ের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে মারা গেছে। অপরদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, আত্মহত্যা করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট দক্ষিণপাড়ার আল-আমিনের মেয়ে বিথির সঙ্গে শহরের কান্দিপাড়ার সওদাগর হাটির এমদাদুল হকের ছেলে রাসেল মিয়ার (৩৩) বিয়ে হয়। রাসেল শহরের সড়ক বাজারে ব্যবসা করেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। সোমবার রাতে বিথি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসেল তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে বিথির মা হেলেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে স্বামী রাসেল ও তার পরিবারের লোকজন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। সোমবার রাতে খবর পাই, সে মারা গেছে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের অত্যাচারে তার মৃত্যু হয়েছে।’

রাসেলের বোন বিপাশা বলেন, ‘সোমবার রাতে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ঘরে থাকা ১২টি প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করে ইসিজি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় এখনও কোনও পক্ষ থানায় মামলা করেনি।’