নির্বাচন ঘিরে নৌকা, ঘোড়া ও হরিণের হাট

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনকে ঘিরে বসেছে অস্থায়ী প্রতীকের হাট। এ হাটে বিক্রি হচ্ছে নৌকা, ঘোড়া, হরিণ, লাটিম, হাতপাখা, করাত, ট্রাক্টর, রেডিও, ঘুড়ি, মিষ্টি কুমড়া, ঝুড়িসহ প্রায় সব ধরনের প্রতীক। কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বসা এই প্রতীকের হাটে দোকান বসিয়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা।  

শুক্রবার (২৭ মে) কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এ খবরে দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে বসিয়েছেন হাট। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতীকের দোকানগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকরা। অনেকে দামাদামি করে, আবার অনেকে পছন্দ হলেই পছন্দের প্রার্থীর প্রতীক কিনে শার্ট বা পাঞ্জাবিতে গেঁথে নিচ্ছেন। 

প্রতীক ব্যবসায়ী মো. বাবু এসেছেন ঢাকার শনিরআখড়া থেকে। চার বছর ধরে তিনি প্রতীকের অস্থায়ী দোকান বসিয়ে আসছেন দেশের বিভিন্ন এলাকায়। 

তিনি আরও বলেন, যেখানে নির্বাচন সেখানেই আমরা চলে যাই। গতকাল রাতে এসেছি এখানে। সকাল থেকেই দোকান বসিয়েছি। বেচা-কেনা ভালোই চলছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক। 

আরেক প্রতীক ব্যবসায়ী মো. রায়হান শেখ বলেন, ঢাকার রায়েরবাগ থেকে এসেছেন তিনি। দুই বছর ধরে এই ব্যবসা তার। তার দোকানে রয়েছে ২০ ধরনের প্রতীকের কোট পিন, গলায় ঝোলানোর ব্যাজ ও প্রতীকের কার্ড। 

ময়মনসিংহ থেকে প্রতীক বিক্রি করতে এসেছেন রাজিব শেখর। টিভিতে নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের খবর শুনে এসেছেন তিনি। রাজিব বলেন, আমরা ১০ থেকে ১৫ জন প্রতীক বিক্রি করতে এসেছি। প্রত্যেকে দুই হাজার টাকা করে বিক্রির আশা করছি। কোট পিন ২৫-৩০ টাকা, গলার ব্যাজ সাইজ হিসেবে ৩০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করি। নির্বাচনের খবর শুনে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ঘুরে বেড়াই। এভাবেই সংসার চলে আমাদের। 

উল্লেখ্য, বর্তমানে কুসিকের ভোটের মাঠে পাঁচ জন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।