নোয়াখালীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, জড়িতদের গ্রেফতার দাবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় একাত্তর টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন সাংবাদিকরা।

বৃহস্পতিবার (০২ জুন) সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংহতি জানিয়ে অংশ নেন।

মানববন্ধন থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সাংবাদিক মিজানুর রহমানের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান বক্তারা। তা না হলেও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। সেই সঙ্গে সাংবাদিকরা যাতে নিরাপদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে দায়িত্ব প্রশাসনকে নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সুমন ভৌমিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, আলমগীর ইউছুফ, আনোয়ারুল হক, জামাল হোসেন, আবু নাছের, তাজুল ইসলাম, সাইফুল্ল্যাহ কামরুল, আকাশ মো. জসীম, আবু নাছের মন্জু এবং তাজুল ইসলাম মানিক। এছাড়া কর্মসূচিতে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার বেগমগঞ্জের বাংলাবাজারে খাবার বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলুসহ দলের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ সময় লাঠিসোঁটা হাতে মিছিল নিয়ে হামলা চালান স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তখন কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের মোবাইল ছিনিয়ে নেন এবং তাকে হেনস্তা করেন হামলাকারীরা।

হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন সাংবাদিকরা

এরপর মোবাইলের সব ভিডিও ডিলিট করে দুই ঘণ্টা পর ফেরত দেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে বেগমগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেন মিজানুর রহমান। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের ভিডিও ধারণ করতে গেলে আমাকে হেনস্তা করে হামলাকারীরা। সেই সঙ্গে মোবাইলের সব ভিডিও ডিলিট করে দেয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও হামলাকারীদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। আমি হামলাকারীদের বিচার চাই।’

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘খাবার বিতরণ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছিল ছাত্রলীগ ও যুবলীগের। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় দলের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়। এ সময় সাংবাদিক মিজানুর রহমান মোবাইল দিয়ে ভিডিও করার চিনতে না পেরে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে মোবাইল ফেরত দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা যায়নি। আমরা তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।’