ঢাকার সাভারে অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে দৈনিক যুগান্তরের ক্রাইম রিপোর্টার ইকবাল হাসান ফরিদের ওপর কেমিক্যাল নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে সাভারের কলমা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা সাভারের স্থানীয় দুই জন জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে তাদের নির্দেশনার কথা জানিয়ে ইকবাল হাসান ফরিদকে এক মাসের মধ্যে এলাকা ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এই সময়ের মধ্যে সাভার ছেড়ে না গেলে তাকে সপরিবারে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা। ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক ইকবাল হাসান ফরিদ বলেন, ‘রাতে অফিস শেষে রাজধানী ঢাকা থেকে সাভারের বাসায় ফিরছিলাম। আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে বাসার অদূরে অন্ধকার গলিতে পৌঁছালে পেছন থেকে একজন মুখোশধারী যুবক আমাকে নাম ধরে ডাক দেয়। ডাক শুনে দাঁড়ানোর পর মুখোশধারী দুই যুবক স্থানীয় দুই জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে আমাকে আগামী এক মাসের মধ্যে এলাকা (সাভার) ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলে। অন্যথায় সপরিবারে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে তাদের একজন মরিচের গুড়া সাদৃশ্য এক প্রকার ঝাঁঝালো কেমিক্যাল আমার মাথায় ও চোখেমুখে ছিটিয়ে দেয় এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে চলে যায়। ঝাঁঝালো কেমিক্যাল ছিটিয়ে দেওয়ার পর চোখেমুখে ও শরীরে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া শুরু হলে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা সাভারের যেই দুই জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে আমাকে হুমকি দিয়েছে তাদের কারও সাথেই আমার পরিচয়, যোগাযোগ কিংবা কোনও ধরনের বিরোধ নেই। তৃতীয় কোনও পক্ষ ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের লক্ষ্যে তাদের নাম ব্যবহার করে থাকতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক তদন্তে প্রকৃতি ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’
এদিকে ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হাসপাতালে অসুস্থ সাংবাদিককে দেখতে আসেন সাভার মডেল থানার ওসি মো. শাহজামান। এ সময় তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।