প্রত্যক্ষদর্শীদের মুখে ঘটনার বর্ণনা

জালাল উদ্দীন (২০)। তিনি বিএম কনটেইনার ডিপোর গাড়ি চালক। আগুন লাগার সময় তিনি অফিসের সামনে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘কনটেইনারে আগুন লাগার পর পরই একটি কনটেইনার থেকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। আমার শরীরে কী যেন এসে পড়ে। এতে পুড়ে যায় আমার বুক। এরপর আমাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

তার ছোট ভাই হেলাল উদ্দিন জানান, তিন বছর আগে তিনি চাকরিতে যোগদান করেন। চমকে হাসপাতাল সার্জারি বিভাগে তাকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।

তার মতো সার্জারি ওয়ার্ডে অন্তত ২৫ জন আহত ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন। একইভাবে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে শতাধিক আহত ভর্তি আছেন।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, চমেক হাসপাতালে শতাধিক আহত  ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কতজন ভর্তি আছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি জানান, এ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জন মারা গেছে। এর মধ্যে একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার নাম মোমিনুল হক (২৫)। তিনি বাঁশখালী উপজেলার চনুয়া ইউনিয়নের ফরিদিল আলমের ছেলে।

এএসআই  জানান, পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৫ জন, আসিইউতে ২ জন, প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন ৩০ জন, সেখানে একজন মারা গেছেন।

বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, চমেক হাসপাতালে আইসিইউ সংকট দেখা দিলে জেনারেল হাসপাতালে গুরুতর রোগীদের ভর্তি করা হবে।

সুমন আহমেদ নামে আহত আরেক ব্যক্তি জানান, তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে দৈনিক বেতনে কর্মরত।

প্রথমে একটি কনটেইনারে আগুন লাগে। সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এক সময় কনটেইনার বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে অনেক মানুষ আহত হন।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক জানান, আহতদের চিকিৎসায় সার্বক্ষণিক চিকিৎসক, নার্স আছেন। আহতদের যার যেভাবে চিকিৎসার প্রয়োজন তা দেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় তৌহিদুল হাসান সুমন নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি সেখানে অপারেটরের চাকরি করেন। তার বাড়ি সন্দ্বীপে। তার সন্ধান করছেন শাহিদ। তিনি জানান, তৌহিদুল হাসান সুমন আমার ছোট বোনের স্বামী। তাকে পাওয়া যাচ্ছ না। এ কারণে চমেক হাসপাতালে খোঁজ নিতে এসেছেন। এভাবে বিএম কনটেইনারে কর্মরত অনেকের খোঁজে এসেছেন স্বজনরা।

আরও পড়ুন...

সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭