বিস্ফোরণে হতাহতদের উদ্ধারে গাউসিয়া কমিটি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে হতাহতদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছেন মানবিক সংগঠন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। ঘটনার পর থেকে সংগঠনটির কয়েকশ’ কর্মী উদ্ধারে কাজ করছেন। কেউ রক্ত, আবার কেউ ওষুধ দিয়ে হতাহতদের সহায়তা করছেন।

গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ মানবিক সেবা কর্মসূচির সদস্য মোহাম্মদ এরশাদ খতিবী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সীতাকুণ্ড গাউসিয়া কমিটির কর্মীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত থেকে হতাহতদের উদ্ধারে সহায়তা শুরু করি। গাউসিয়া কমিটির চারটি অ্যাম্বুলেন্সে হতাহতদের চমেক হাসপাতাল, সিএমএইচ, মা ও শিশু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, পার্ক ভিউসহ বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘গাউসিয়া কমিটির চারটি অ্যাম্বুলেন্সে রাত থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১২টি লাশ বহন করে আনা হয়েছে। এর মধ্যে রাতে পাঁচটি এবং ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আরও সাতটি লাশ বহন করে এনেছে গাউসিয়া কমিটির কর্মীরা।’

গাউসিয়া কমিটির কর্মীদের কেউ রক্ত, কেউ আবার ওষুধ দিয়ে সহায়তা করছেন

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা গাউসিয়া কমিটির প্রচার সম্পাদক আহসান হাবিব চৌধুরী হাসান জানান, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে উদ্ধার কাজ করছেন শত শত গাউসিয়া কমিটির কর্মী। এছাড়া চমেক হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন অনেকে। হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে রোগীদের সেবায় তারা কাজ করছেন।

গাউসিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও মানবিক সেবা কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে উদ্ধার কাজ করছেন গাউসিয়া কমিটির কর্মীরা। পাশাপাশি আহতদের জন্য রক্ত দান, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও কাপড় দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ প্রয়োজন হবে ততক্ষণ পর্যন্ত হতাহতদের পাশে থাকবে এই টিম।

এদিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গাউসিয়া কমিটির পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠন সহায়তা করছেন।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ এ পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছেন।