সীতাকুণ্ডের আগুনে ৬৩ জনের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনে ৬৩ জনের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় জনের চোখের সমস্যা গুরুতর।

মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পরিচালকের দফতরে সংবাদ সম্মেলনে চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক এ তথ্য জানান।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন

তিনি বলেন, ‘চোখে আঘাত পাওয়া ছয় জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর প্রয়োজন। রয়েছে। তাদের একজনকে দেশের বাইরে পাঠানো হতে পারে।’

অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘কারও চোখের সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হবে কিনা তা ৬-৭ দিন পর জানা যাবে। যাদের চোখের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমাদের টিমকে তাদের ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেমিক্যাল ইনজুরির কারণে আহতদের চোখে সমস্যা হয়েছে। তবে কোন ধরনের কেমিক্যাল তাদের আক্রান্ত করেছে, তা এখনও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। ’

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৪১টি লাশ আমরা গ্রহণ করেছি। ২৬ জনের পরিচয় শনাক্তের পর স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি লাশ যেগুলো শনাক্ত হয়নি সেগুলো ফ্রিজে রাখা হয়েছে। তবে কতদিন রাখা হবে এ বিষয়ে পুলিশ সিদ্ধান্ত নেবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে আহত মোট ২৩০ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ভর্তি করা হয় ১৫৫ জনকে। বর্তমানে ৬৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন।’

উল্লেখ্য, গত ৪ জুন রাত ১০টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাতে একটি কনটেইনারে আগুন লাগে। পরে সেটি বিস্ফোরিত হলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।  আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ , ডিপোর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকসহ দুই শতাধিক। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।