অগ্নিকাণ্ডে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে ডিপোর মালিকদেরও আসামি করা হবে

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় মালিকদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদেরও আসামি করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (৮ জুন) সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোর পরিচালনা পর্যায়ে যারা ছিলেন তাদেরকে মামলার আসামি করা হয়েছে। তদন্তে যদি ডিপোর মালিকদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাহলে তাদেরকেও আসামি করা হবে।

এর আগে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় আট জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় দুর্ঘটনায় অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- বিএম কনটেইনার ডিপোর ডিজিএম (অপারেশন) নুরুল আকতার, ম্যানেজার (অ্যাডমিন) খালেদুর রহমান, সহকারী অফিসার (অ্যাডমিন) আব্বাস উল্লাহ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী ব্যবস্থাপক (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) আবদুল আজিজ, কনটেইনার ফ্রেইট স্টেশনের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, একই বিভাগের নজরুল ইসলাম ও জিএম সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং নাজমুল আকতার খান।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের অবহেলাজনিত কারণ উল্লেখ করে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। মামলায় আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ডিপোর কিছু কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে। এত পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠে এবং আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের লাশ পাওয়া গেছে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।