‘মানুষের সব অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজনীতি করছে জাতীয় পার্টি’ 

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘দেশে বিরাজনীতিকরণ চলছে। তাই দেশের মানুষের অধিকার ছিনতাই হয়ে গেছে। জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। তারাই নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। কিন্ত দেশের মানুষ এখন আর জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন না। নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। এমন বাস্তবতা থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়। জাতীয় পার্টি মানুষের সব অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজনীতি করছে।’

শনিবার (১১ জুন) দুপুরে চাঁদপুর সরকারি হাসান আলী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে চাঁদপুর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিত হবে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে কর্তৃত্ববাদী সরকারের শাসনে রাজনৈতিক দলগুলো বিলীন হয়ে যাবে। সাইনবোর্ড সর্বস্ব দল থাকবে, নেতা থাকবে। দেশের মানুষ আর রাজনৈতিক দল বা রাজনীতিবিদদের প্রতি আর আস্থা রাখবে না।’

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সরকারি দল ও তাদের সমর্থকদের নিয়ে একটি জোট হবে। তাদের শক্তি হচ্ছে, প্রশাসন, অর্থ আর পেশিশক্তি। অর সব বিরোধী শক্তি মিলে হয়তো আরেকটি জোট হবে, যাদের একমাত্র শক্তি হচ্ছে জনগণের সমর্থন।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো নেই। মহামারির কারণে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন, প্রতিদিন শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষকে দিশেহারা করেছে। শুধু ২০ ভাগ মানুষ ভালো আছে। তাদের এত টাকা যে দেশে রাখার জায়গা নেই, তারা বিদেশে টাকা রাখেন। আর গরিব মানুষ দিন দিন আরও গরিব হচ্ছেন।’

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর শিকদার লোটন, নাজমা আক্তার, লিয়াকত হোসেন খোকা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ডা. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্মেলনে দলটির জেলার নতুন সভাপতি হিসেবে এমরান হোসেন মিয়ার নাম ঘোষণা করা হলেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।