অপেক্ষা ভোটের, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নিয়ে দুশ্চিন্তা

রাত পোহালেই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হচ্ছে ভোটগ্রহণ। তবে এই নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলেও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো। মোট ১০৫টি কেন্দ্রে সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে প্রায় ৯০টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।

তবে নিরাপত্তার প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার। অন্যদিকে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে নির্বাচন স্থগিতের কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিটি নির্বাচনের ১০৫টি ভোট কেন্দ্রের ৯০টির মতো কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এসব কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত বছরের ২২ নভেম্বর নিজ কার্যালয়ে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেল ও সঙ্গী হরিপদ সাহাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। যে কারণে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড পুলিশের বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে। এদিকে, সদর দক্ষিণের ৯টি ওয়ার্ডের ১৯ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৩২টি কেন্দ্র, ১৬, ১৭, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সবকটি কেন্দ্র ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, ভোটের দিন ২৭ ওয়ার্ডের সব কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন হাজার ৬০৮ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ৭৫টি চেকপোস্ট, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ৩০টি টিম, ১০৫ কেন্দ্রে এক হাজার ২৬০ আনসার সদস্য ও এপিবিএনের ৫০ জন সদস্য নিরাপত্তা রক্ষায় থাকবে।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বলে কোনোটা বেশি আবার কোনোটা কম গুরুত্ব পাবে- বিষয়টা এমন নয়। সব কেন্দ্রই আমাদের নজরে রয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য প্রশাসনও প্রস্তুত আছে।

এই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয় গত ২৮ মে। শেষ হয় সোমবার (১৩ জুন) মধ্যরাতে। প্রচারে এক প্রার্থী আরেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও তেমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ, ২৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৮ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিটিতে ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ২৯ হাজার। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে এটি প্রথম নির্বাচন।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া), রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা) ও কামরুল আহসান বাবুল (হরিণ প্রতীক)।