১৭ বছর পর সাক্কুর হার

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কাছে পরাজিত হয়েছেন সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আওয়ামী লীগ প্রার্থী রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। ৩৪০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এর মধ্য দিয়ে গত ১৭ বছরের মধ্যে প্রথমবার ভোটযুদ্ধে হারলেন সাক্কু।  

জানা যায়, মনিরুল হক সাক্কু ১৯৯৩ সালে জেলা যুবদলের সভাপতি হন। ওই পদে তিনি ২০১০ পর্যন্ত বহাল ছিলেন। ২০০৩ সালে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হন। 

২০০৫ সালের উপনির্বাচনে তিনি কুমিল্লার পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান।

২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে মনিরুল হক মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৬৫ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আফজল খানকে ২৯ হাজার ১০৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি।

২০১৭ সালের ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানাকে ১১ হাজার ৮৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি।

বুধবার (১৫ জুন) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্য তিন প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে ২৯ হাজার ৯৯, রাশেদুল ইসলাম হাতপাখায় তিন হাজার ৪০ ও কামরুল আহসান বাবুল হরিণ প্রতীকে দুই হাজার ৩২৯ ভোট পেয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে মোট দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ ভোটার ছিলেন। এরমধ্যে এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৪টি ভোট পড়ে। তবে বাতিল হয় ৩১৯ ভোট। ভোট পড়েছে মোট ৫৮.৭৪ শতাংশ। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।